ঢাকা,রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারের জেল থেকে মুক্ত ৮ শতাধিক রোহিঙ্গা বন্দিকে রাখাইনে ফেরত

অনলঅইন ডেস্ক :: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ভয়ে সোমবার মায়ানমারের জেল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ৮‘শ রোহিঙ্গা বন্দিকে দেশটির পশ্চিম সীমান্তবর্তী রাখাইনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রবিহীন ও দীর্ঘ-নিপীড়িত মুসলিম সংখ্যালঘু পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের গত সপ্তাহে দেশটির এপ্রিলে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করে প্রায় ২৫ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকশ রোহিঙ্গাদের সেদেশের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ইয়াঙ্গুন থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নিয়ে গেছে। যেখানে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা কঠোর আন্দোলনের বিধিনিষেধে বসবাস করছে।আর এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একে “বর্ণবাদী” বলে নিন্দা করেছে।

রাখাইন রাজ্যের অভিবাসন বিভাগের প্রধান সো ল লুইন বলেছেন, ৬০০ এরও বেশি রাজ্য রাজধানী সিটউয়ের নিকটে যাত্রা করেছে এবং আরও ২০০ জনকে আরও উত্তর দিকে বাংলাদেশের সীমান্তে শহরতলী মংডুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারের বৃহত্তম বন্দী মুক্তি করা হল যখন করোনভাইরাসের আশঙ্কায় দেশটি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মায়ানমারের কারাগারগুলোকে “ভয়াবহ জনবহুল এবং অস্বাস্থ্যকর” হিসাবে বর্ণনা করে এবং সেখান থেকে স্বল্প ঝুঁকিযুক্ত বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন হুঁশিয়ারিও দিয়েছে যে কারাগারের জনগোষ্ঠী এই রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ।

মায়ানমারে এ পর্যন্ত ১১১টি কভিড-১৯টি নিশ্চিত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে পরীক্ষিত কম সংখ্যক এবং দেশের ক্রমহৃাসমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার কারণে আসল সংখ্যাটি বহুগুণ বেশি।

রোহিঙ্গাদের চিকিত্সার উন্নতির জন্য মিয়ানমারের উপরও চাপ রয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে রক্তক্ষয়ী সামরিক ক্র্যাকডাউনের পরে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার বেসামরিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে পালিয়ে আসে।

এনিয়ে দেশটি আগামী মাসে আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারককে অবশ্যই রিপোর্ট পেশ করতে হবে এবং সংখ্যালঘু রক্ষার জন্য যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছিল তার রূপরেখা প্রকাশ কররেতে হবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার এবং অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করায় কয়েকশ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গারা সামান্য সহানুভূতি অর্জন করেছে। যেখানে রোহিঙ্গারা বহু প্রজন্মের শিকড় সন্ধান করলেও তাদেরকে অবৈধ অভিবাসী হিসাবেই দেখা হয়।

পাঠকের মতামত: